এবার আসি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গ্রীন কফির উপকারিতা কি

ব্লাড সুগার এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ :

keto গ্রীন কফি বা এর নির্যাস পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা এবং সামগ্রিক লিপিড প্রোফাইল উন্নতি করতে পারে। এই প্রত্যেকটি বিষয় টাইপ-২ ডায়াবেটিসের বিকাশ বা অগ্রগতির সাথে যুক্ত। গ্রীন কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে। এছাড়া বিপাকীয় সিনড্রোমের চিকিৎসা করতে পারে, যেটি মূলত প্রিডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ।

উচ্চ রক্তচাপ কমানো :

উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের রক্তচাপ কমাতে গ্রীন কফি বীজ অথবা এর নির্যাসে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের ক্ষমতা অভাবনীয়। এর পাশাপাশি রক্তনালীর কার্যকারিতাও উন্নত করার প্রমাণ বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া গেছে।

উচ্চ কোলেস্টেরল কমানো :

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে keto গ্রীন কফি বীজের নির্যাসের প্রভাব দুর্দান্ত। গ্রীন কফি নির্যাস সাপ্লিমেন্টেশন ব্যবহার করে রোগীদের মধ্যে হাই-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল) বা ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) বা খারাপ কোলেস্টেরলের হ্রাস হতে দেখা গেছে।

শরীরের ওজন কমানা :

কফি পান করা একটি সাধারণ উপায় যা অনেকেই ওজন কমানোর জন্য বেছে নেয়। কফিতে থাকা ক্যাফেইন থার্মোজেনেসিসকে উদ্দীপিত করে যারা নিয়মিত শরীর চর্চা করে থাকেন তাদের শক্ত অনুশীলগুলো করতে সাহায্য করে। অনেক সময় ধরে পাকস্থলি পূর্ণতার পাশাপাশি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা সাময়িকভাবে হ্রাসের মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করে। শরীরের বিপাক বৃদ্ধি জন্য দায়ী হরমোন অ্যাডিপোনেক্টিন গ্রীন কফি বীজের নির্যাস গ্রহণে বৃদ্ধি পায়।

 ত্বককে  উজ্জ্বল রাখা :

keto গ্রীন কফি বীজ নির্যাস ত্বককে হাইড্রেটেড রেখে তার গুণমান উন্নত করতে সহায়তা করে। ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শুধুমাত্র ত্বকের আর্দ্রতা বাষ্পীভবন থেকেই রক্ষা করে না, বরং ত্বকে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহে সহায়তা করে। ফলশ্রুতিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলো ত্বকে পৌছতে পারে এবং ত্বককে সুগঠিত এবং মসৃণ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ করতে পারে। গ্রীন কফি বীজের নির্যাস সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বকের নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতাও বাড়ায়।

আরো পড়ুন

• Why you should go for GT20 Smartwatch?
• DZ09 স্মার্ট ওয়াচ Smartwatch-ক্রেতাদের কাছে কি সাশ্রয়ী?
• Buy KETO green coffee for Weight Loss
• A1 Single SIM Supported Wireless Bluetooth Smartwatch – Black review
• Best Buy New Dz09 Smart watch with sim slot Bluetooth

ফ্যাট কমায় :

keto গ্রিন কফি যেমন সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে তেমনই হরমোনের কাজকে স্বাভাবিক রাখে। গ্রিন কফির মধ্যে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ফ্যাটকে ভেঙে মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে খিদে একদমই পায় না। উপরন্তু ওই ফ্যাট ভেঙে শক্তিও আসে। ফলে শরীর থাকে তরতাজা। গ্রিন কফির সঙ্গে টানা এক্সসারসাইজ করলে ফ্যাট অনেকটাই কমে। খাবারের পরিমাণ কমালেই শরীরে ফ্যাট জমবে কম। এছাড়াও গ্রিন কফি খেলে শরীরে সামান্য দুর্বলতা থাকে। যার ফলে খাওয়ার ইচ্ছেটাই কমে যায়।

তবে keto গ্রিন কফি খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মেনে না খেলে হতে পারে কিছু শারীরিক অসুবিধে। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যাফেইন মেটাবলিজম রেট ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের সাহায্যে ক্যাফেইন পৌষ্টিকনালীতে কার্বোহাইড্রেট শোষণ কমাতে পারে। রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়িয়ে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

টানা ১২ সপ্তাহ ধরে গ্রিন কফি খেলে শরীর ভালো থাকে আর উপকারও পাওয়া যায়।